ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট ও কর্মপরিবেশ দেখে অভিভূত সড়ক ও মহাসড়ক সচিব

ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্টে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য দেখেন অতিথিরা

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেড কোয়ার্টার্সের সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট দেখে অভিভূত হয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী। বিশেষ করে, তিনি ওয়ালটনের বৈদ্যুতিক গাড়ির গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে মোহিত হন।

গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) বিকেলে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেন সড়ক ও মহাসড়ক সচিব। হেড কোয়ার্টার্সে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

সচিবের সফরসঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক এবং আরবান ট্রান্সপোর্টের অতিরিক্ত সচিব জাহিদ হাসান।

ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্টে উৎপাদিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দেখেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবসহ অতিথিরা

হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, মেটাল কাস্টিং ও মোল্ডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাকশন প্ল্যান্টসহ ইলেকট্রনিক ভেহিকেল বা বৈদ্যুতিক গাড়ির গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।


পরিদর্শন শেষে এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘আজ ওয়ালটনে এসেছি, দেখেছি, খুশি ও অভিভূত হয়েছি। ওয়ালটনের শুরু হয়েছিল ফ্রিজ দিয়ে। এখন বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে ওয়ালটন। মোবাইল, ল্যাপটপ, পিসি বানাচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রাকৃতিক আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে দিনে উৎপাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ হাজার শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করছে। ওয়ালটনের সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ একটা দৃষ্টান্ত। দেশকে ই-ভেহিকেলের দিকে এগিয়ে নিতে ওয়ালটনের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ দেশে যে বড় বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে, তার চাক্ষুষ প্রমাণ ওয়ালটন।’

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবসহ অন্য অতিথিরা

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ যে সকল সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওয়ালটন। সারা দেশে ওয়ালটনের শোরুম, সার্ভিস সেন্টার আছে। বিদেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশের পাশাপাশি বিদেশের চাহিদাও মিটাচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বাড়াচ্ছে।

পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদ হাসান ও ইয়াসির আল-ইমরান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

রাইজিংবিডি.কম

news