বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান—পতৌদি প্যালেসের উত্তরাধিকারী হলেও, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে বহু সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এস্কয়ার ইন্ডিয়া কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ শেয়ার করেছেন ক্যারিয়ারের সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা।

সাইফ জানান, তার চলচ্চিত্র যাত্রা মোটেও মসৃণ ছিল না। বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পতৌদিএবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের ছেলে হলেও তিনি তখন ছিলেন দ্বিতীয় সারির অভিনেতা। নব্বই দশকের দিনগুলো তিনি নিজে ‘নেট প্র্যাকটিস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, অভিনয়ের শুরুতে এমন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছিল যা আজও মনে পড়ে। “এক নারী প্রযোজক প্রতি সপ্তাহে আমাকে মাত্র এক হাজার রুপি দিতেন। তবে শর্ত ছিল—প্রতিবার টাকা নেওয়ার আগে তার গালে আমাকে ১০ বার চুমু খেতে হতো।”

সাইফের বলিউড যাত্রা শুরু হয়েছিল যশ চোপড়া পরিচালিত পরম্পরা’ সিনেমার মাধ্যমে। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ‘ইয়ে দিল লাগি’ ও ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ সিনেমায়। তবে আসল ক্যারিয়ার শুরুর কথা ছিল রাহুল রাওয়াল পরিচালিত ‘বেখুদি’ সিনেমার মাধ্যমে। সেখানে তার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল কাজল, কিন্তু শুটিংয়ের প্রথম দিনেই বাদ পড়েন সাইফ।

অভিনয় জীবনে বহুবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সাইফ বলেন, “স্ট্রাগল মানে কী? অটো রিকশায় উঠে পড়ে একই জায়গায় দশবার যাওয়া, অফিসে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করা—এটাকেই মানুষ স্ট্রাগল বলে। আমারও স্ট্রাগল ছিল, কিন্তু একটু আলাদা। প্রথম সিনেমা থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ পরিচালক বলছিলেন, ‘তোমার প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা ছাড়ো।’ এটা ছিল নৈতিক সিদ্ধান্ত।”

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সাইফ অভিনীত ‘হাম সাথ সাথ হায়’ যা তুমুল হিট হয়। তবে তিনি মনে করেন, তার অভিনয়প্রতিভা সবার নজরে আসে ২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’সিনেমার মাধ্যমে।

এরপর ২০০৩ সালে মুক্তি পায় ‘কাল হো না হো’, যেখানে সাইফের অভিনয় প্রশংসিত হয়। ‘হাম তুম’ সিনেমার জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর ‘পরিণীতা’সালাম নমস্তে’‘ওমকারা’‘রেস’লাভ আজকাল
‘ককটেল সিনেমার মাধ্যমে সাইফ আলী খান নিজেকে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
 

news