২০২৩ সালের মে মাসে ভয়াবহ জাতিগত সংঘাতের পর প্রথমবার মণিপুর সফরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিনি চুরাচাঁদপুরে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং নতুন আশার বার্তা দেন।

মোদি বলেন, “মণিপুর হলো আশা আর আকাঙ্ক্ষার ভূমি। দুর্ভাগ্যবশত এখানে অশুভ ছায়া নেমে এসেছিল। তবে আজ ত্রাণ শিবিরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, এখানে নতুন বিশ্বাস ও আশার ভোর এসেছে।”

২০২৩ সালে মণিপুরে প্রভাবশালী মেইতেই সম্প্রদায় ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। জমির অধিকার ও সরকারি চাকরিতে প্রাধান্য নিয়ে তৈরি হওয়া বিরোধে প্রায় ২৫০ জন নিহত হন। মাসের পর মাস ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় এবং অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। আজও হাজারো মানুষ ঘরে ফিরতে পারেনি। অধিকারকর্মীরা এই সহিংসতার জন্য স্থানীয় নেতাদের দায়ী করেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, সহিংসতাপূর্ণ এ রাজ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তার মতে, “উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য। গত ১১ বছরে উত্তর-পূর্বে বহু সংঘাত ও বিরোধের সমাধান হয়েছে। মানুষ উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছে। পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে। আমি সব সংগঠনকে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।”

এর পাশাপাশি তিনি মণিপুরে আসন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন। ইম্ফলে নতুন বিমানবন্দর, নতুন মহাসড়ক, জিরিবাম-ইম্ফল রেল সংযোগ এবং একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন মোদি।

তিনি আরও বলেন, “ভারত শিগগিরই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে। একসময় দিল্লির সিদ্ধান্ত মণিপুরে পৌঁছাতে দশক লেগে যেত, এখন দেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।”

সহিংসতার ধাক্কা সামলে মোদির এই সফর মণিপুরে নতুন শান্তি ও উন্নয়নের আশা জাগিয়েছে।

 

news