নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে জারি হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে সীমান্তজুড়ে কড়া নজরদারি শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) পাঞ্জাব সীমান্তে টহল জোরদার করেছে, পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্তসহ সংবেদনশীল সব প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত চেকপোস্ট, কুকুর স্কোয়াড ও উন্নত স্ক্যানিং প্রযুক্তি।

ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর এখন কঠোর তল্লাশি চলছে। পরিচয়পত্র, ভিসা ও অন্যান্য নথি যাচাইয়ের পরেই কেবল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ও নজরদারি টিম প্রতিটি নড়াচড়া খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।

লালকেল্লা বিস্ফোরণের প্রভাব এখন গোটা দেশজুড়ে। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, দেরাদুন, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে বড় শহরগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল, জনসমাগম এলাকায় চলছে বিশেষ নজরদারি।

সোমবার রাত প্রায় ৭টার দিকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়িটিতে ছিল হরিয়ানার নাম্বারপ্লেট। ট্রাফিক সিগন্যালে থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই জোরালো বিস্ফোরণ হয়, যার শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা।

ঘটনার পরপরই ফরেনসিক দল, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট (ATS) ও দিল্লি পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্স যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও গাড়ির মালিকানা যাচাই চলছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এলএনজেপি হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সব দিক থেকে তদন্ত করছি। সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এখনই বিস্ফোরণের সঠিক কারণ বলা কঠিন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এমন সতর্কতা বিরল। সীমান্ত সুরক্ষায় এমন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

 

news