দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সোমবার সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক লালকেল্লার একদম কাছেই একটি গাড়িতে ঘটে এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণ।

নয়াদিল্লিতে থাকা মার্কিন দূতাবাস তাদের সব নাগরিককে একটি জরুরি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। তাতে আমেরিকানদের লালকেল্লা এবং চাঁদনী চক এলাকা একদম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, যে কোনো বড় জনসমাগম থেকে দূরে থাকতে এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দেখে খবর রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন।

মার্কিন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে রাজধানীর বাজার, বাস স্ট্যান্ড বা ট্রান্সপোর্ট হাব এবং পর্যটকদের ভিড় থাকে এমন জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, দিল্লির লালকেল্লার কাছে发生的 বিস্ফোরণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানিয়েছে, তারা এই পরিস্থিতি খুব কড়াভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

সোমবার এক রাষ্ট্রীয় বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় বিষয়ক ব্যুরো এক পোস্টে লিখেছে, ‘নয়াদিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা মুহূর্তের জন্য Augen না ফিরিয়ে পুরো বিষয়টি দেখছি। প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আর আহত সকলের দ্রুত সেরে ওঠার জন্য শুভকামনা।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগ একটি ‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করে জানিয়েছে, যদিও বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও অজানা, কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই সরকার উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে।

এর আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র পিটিআইকে বলেছিলেন, ‘দিল্লির লালকেল্লার কাছাকাছি বিস্ফোরণের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে কনস্যুলার সাহায্য দিতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য সরকারও তাদের নাগরিকদের জন্য একটি ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে। সেখানে ভারতের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। সম্ভাব্য সশস্ত্র সংঘাতের কথা মাথায় রেখে ব্রিটেনের Foreign, Commonwealth & Development Office (FCDO) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেকোনো ধরনের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

পাশাপাশি ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যেমন পেহেলগাম, গুলমার্গ, সোনমার্গ, শ্রীনগর শহর এবং জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক দিয়ে ভ্রমণ না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র বিমানে করে জম্মু শহরে আসা-যাওয়া এবং শহরের ভিতরে সীমিত আকারে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে।