ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট রুম আজ যেন একেবারে প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছিল। আইন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারটি ছিল যেমন জ্ঞানগর্ভ, তেমনি ছিল ভাবনার খোরাক। অনুষ্ঠানে বক্তারা শুধু আইনের ধারা-বিধি নিয়ে কথা বলেননি, বরং বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন—বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি রক্ষার গুরুত্ব কতটা গভীর।

অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক নিলুফার স্যালভাদুরাই একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবকদের এখনও “স্বতন্ত্র ব্যক্তি” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, আইন তৈরির সময় এখন ভাবতে হবে—মানুষ নয়, যন্ত্রও উদ্ভাবক হতে পারে! অন্যদিকে, মহুয়া জহুর জানান, লোকসঙ্গীত বা ভিজ্যুয়াল কাজের মানুষদের রক্ষা করতে কপিরাইট আইন ২০২৩-এ আরও স্পষ্টতা দরকার।

সাকিব রহমান একটি বেশ মজার বিষয় তুলে আনেন—‘ট্রেডমার্ক অস্পষ্টতা’। শুনতে জটিল, কিন্তু ভাবুন তো, পরিচিত ব্র্যান্ডের মত দেখতে কেউ একটা নাম বা লোগো নিল, আর আপনি বিভ্রান্ত হয়ে ভুল পণ্য কিনে ফেললেন! এই নিয়েই আইনে আরও উন্নয়ন দরকার বলেই মত তার।

উপাচার্য ও অন্যান্য অতিথিরা শিক্ষার্থীদের আইনি দক্ষতা বাড়াতে এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা কামনা করেন। পুরো অনুষ্ঠানটাই ছিল এমন এক অভিজ্ঞতা, যা শুধু কাগুজে আলোচনা নয়—আসলে ভবিষ্যতের আইনজীবীদের বাস্তব জগতের সঙ্গে যুক্ত করে।

#বুদ্ধিবৃত্তিকসম্পত্তি #আইনশিক্ষা #উদ্ভাবন #এনএসইউ #বাংলাদেশআইন

news