নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী চীনের নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক প্রফেসরশিপে ভূষিত হয়েছেন। প্রথম দক্ষিণ এশীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৮ মে চীনের নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটিতে এক উচ্চপর্যায়ের সিম্পোজিয়ামে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীকে সম্মানসূচক প্রফেসরশিপ প্রদান করা হয়। প্রথম দক্ষিণ এশীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি এই বিরল সম্মান অর্জন করেন। এই অনুষ্ঠানে এনএসইউ এবং নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়, যা দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমিক, গবেষণা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ উন্মুক্ত করবে।
অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী এই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে বলেন, “এই সম্মান এনএসইউ’র আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এটি শিক্ষা, গবেষণা এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আমাদের মিশনের প্রতিফলন।” তিনি সিম্পোজিয়ামে ‘সোশ্যাল বিজনেস অ্যান্ড থ্রি জিরোস’ শীর্ষক একটি কী-নোট বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি টেকসই ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নির্গমন সমস্যার সমাধানের দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এনএসইউ এবং নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে। এই চুক্তি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। এই অনুষ্ঠানে এনএসইউ’র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের পরিচালক অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পর অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী চীনের জিয়াংসু ব্যাংকে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, ক্ষুদ্রঋণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক আর্থিক মডেল নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য এবং এর সামাজিক প্রভাব তুলে ধরা হয়, যা উপস্থিত প্রতিনিধিদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।
অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর এই সম্মাননা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য একটি গৌরবময় মুহূর্ত। এনএসইউ এবং নানজিং অডিট ইউনিভার্সিটির এই সহযোগিতা শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই অর্জন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।


