মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় বসিরহাটে নিহত ৭

ওড়িশার জাজপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে। আর সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বসিরহাটের সাতজনের। নিহতরা সবাই স্থানীয় মাটিয়া থানার ধান‍্যকুড়িয়া বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছানো মাত্র শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম।

স্থানীয় সুত্রে খবর, ওই গ্রামের সাতজনই কাজের সূত্রে ওড়িশায় গিয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে একসঙ্গে ওই সাত শ্রমিক একটি গাড়িতে করে প্রতিবেশী ওই রাজ্যের দিকে রওনা হয়। সে রাজ্যের একটি পোলট্রি ফার্মে কাজের জন্যেই তাদের ওডিশাতে যাওয়া হয় বলে খবর। আর সেই যাওয়ার পথেই ওড়িশার জাজপুর জেলার ধর্মশালা থানার চণ্ডীপুরে জাতীয় সড়কে একটিও ডাম্পার তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে বলে খবর পাওয়া যায়। রাস্তার পাশেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই সাত শ্রমিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িতেই ছিলেন ওই সাত শ্রমিক। ডাম্পারের আচমকা ধাক্কায় একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই সাত শ্রমিকের।


ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এলাকার মানুষজন। তারাই প্রথম উদ্ধারকাজে নামে বলে খবর। নিহতদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। নিহতরা হলেন, আমজাদ আলি সর্দার (২৮), জাহাঙ্গির সর্দার (৪০), করিম সর্দার (২৫), আমিরুল সর্দার (২৬), আরিফ সর্দার (২৬), টিঙ্কু সর্দার (৩০), সুরজ সর্দার (৪৯)।

সুরজ গাড়ির চালক ছিলেন। এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর সর্দারপাড়ায় পৌঁছতেই গোটা গ্রাম যেন শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে। বুক ফাটা কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বাড়িগুলি থেকে।

এক মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসার চালাতে পেটের টানে কাজে যাচ্ছিলেন ওই শ্রমিকরা। সামনে দোল। তাই হাতে টাকাকড়ির প্রয়োজন ছিল। ভিন রাজ্যে কাজ করে রোজ ৩০০ টাকা পাওয়া যায়। তাই কাজের সন্ধান পেতেই সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন তারা। সেখানে তিনদিনের কাজ ছিল তাদের।

টানা তিনদিন একসঙ্গে কাজ করে ৯০০ টাকা নিয়ে ফেরার কথা ছিল তাদের। আগেও এভাবে কাজে গিয়েছেন। বাড়ির লোকজন ভাবতেই পারছেন না সাতজনই নেই।

এনবিএস/ওডে/সি

news