“বাখমুত দুর্গকে সুরক্ষার” সংকল্প ইউক্রেনের

ইউক্রেন সরকার বলছে তারা রাশিয়ার অবিরাম হামলার হাত থেকে পূর্বাঞ্চলের বাখমুত শহরকে রক্ষা করে চলেছে। সাত মাসব্যাপী প্রচন্ড রুশ হামলায় খনি শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া মরিয়া হয়ে শহরটি দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ইউক্রেন তাদের “বাখমুত দুর্গ” সুরক্ষার সংকল্প ব্যক্ত করেছে। রাশিয়ার বাহিনীও শহরটি দখল করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। এটি দখল হবে তাদের জন্য এ যুদ্ধে একটি বড় রাজনৈতিক পুরস্কার।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ রোববার সকালে বলেন, “একদিনে শত্রুর ১৩০টিরও বেশি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।” কুপিয়নস্ক, লাইম্যান, বাখমুত ও আভদিভকা এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, শত্রু বাখমুত শহরকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার সবচাইতে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী হামলার কারণে বাখমুত শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তার দেশের সেনারা দেশের পূর্বের ডোনবাস অঞ্চলে এক দু:সহ ও কঠিন যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। এ অঞ্চলটিতে বাখমুত অবস্থিত।

জেলেনস্কি তার প্রাত্যাহিক ভাষনে বলেন, “ ডোনবাস অঞ্চলে যুদ্ধরত সেনাদের বীরত্ব, সাহস, শক্ত ও সুদৃঢ় অবস্থানের জন্য আমি তাদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে চাই। তিনি বলেন, “এটি হলো অন্যতম ভয়াবহ, কষ্টকর ও কঠিন লড়াই।”

ইউক্রেনীয় বাহিনীর মুখপাত্র সেরগেই চেরেভাতি শনিবার বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আছে। শত্রুর হামলার লক্ষ্যবস্তুর সর্বাগ্রে রয়েছে এ শহরটি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ জার্মানির বিল্ড অ্যাম সান্তাগ পত্রিকাকে বলেন, “এ হামলায় রাশিয়া ৫০০ সেনা হারিয়েছে এবং প্রতিদিনই বহু হতাহত হচ্ছে। নিহতের এ সংখ্যা নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রেজনিকভের মতে. “বাখমুত হচ্ছে রাশিয়ার জন্য একটি প্রতিকী স্থান। সেকারণে তারা শহরটি দখলের জন্য এমন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, তবে এ শহরটি দখলে পূর্বাঞ্চলে ডোনবাসের যুদ্ধের ওপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দি স্ট্যাডি অব ওয়ার(আইএসডব্লিউ) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, ইউক্রেনের সরবরাহ রাস্তা সংকুচিত হয়ে আসছে। শনিবার আইএসডব্লিউ জানায়, “রাশিয়া বাখমুত ঘেরাও করতে চায়। তবে ইউক্রেনের কমান্ড আভাস দিয়েছে যে, ঘেরাও হয়ে পড়ে থাকার চেয়ে সেনাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়াকে তারা অগ্রাধিকার দেবে। গ্রীষ্মের শুরু থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা শহরটিতে প্রচন্ড যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। শহরটি প্রতীকী গুরুত্ব সামরিক তাৎপর্য ছাড়িয়ে গেছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news