ছাত্রীদের বিষ প্রয়োগের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ: সর্বোচ্চ নেতা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: ছাত্রীদের ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনা একটি জঘণ্য অপরাধ। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর কার্যালয়ের বার্তা বিভাগ জানিয়েছে: সর্বোচ্চ নেতা গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার ওপর জোর দেন। সর্বোচ্চ নেতা এই অপরাধকে জঘণ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা।


আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এই বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে সমাজের সবচেয়ে নিরপরাধ শ্রেণী অর্থাৎ কোমলমতি শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এই ঘটনা সমাজের মানসিক নিরাপত্তাহীনতা এবং পরিবারের জন্য উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতা অত্যন্ত কঠোরভাবে বলেন: প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত যে-কেউই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যেই শাস্তি দেখে অন্যরাও শিক্ষা নিতে পারবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনটি চারা রোপণ করার পর সর্বোচ্চ নেতা ছাত্রীদের বিষ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এ বছরের শ্লোগান হচ্ছে: প্রতি ইরানির জন্য তিনটি চারা। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন: প্রত্যেক ইরানি যদি নির্বাচিত স্লোগানের ভিত্তিতে ৩টি করে চারা রোপণ করে, তবে ১০০ কোটি চারা রোপনের সরকারি পরিকল্পনা ফার্সি ১৪০২ সাল থেকে আগামি ৪ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে যাবে।

পরিবেশ সংরক্ষণে চারা রোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে সর্বোচ্চ নেতা জোর দিয়ে বলেন: জনগণের সহায়তায় এক শ কোটি চারা রোপণ করা অসম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ তুলে ধরে তিনি বলেন: ফলের গাছ লাগানোর পাশাপাশি বনজ এবং তাদের কাঠের গাছের চারা রোপণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কাঠের ব্যবসা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

উর্ধ্বমুখি দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একক পণ্য ভিত্তিক অর্থনীতির ফল। এই সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: কর্মকর্তাদের উচিত সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক উপায় ব্যবহার করা যাতে জনগণের সমস্যা সমাধানের সঠিক উপায় বের করতে পারেন ।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/এক

news