বেলরুশের নির্বাসিত বিরোধী দলীয় নেতার ১৫ বছরের জেল

বেলরুশের নির্বাসিত বিরোধীদলীয় নেত্রী সভিয়াতলানা তসিখানোস্কায়াকে ১৫ বছরের জেল দিয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিচারের পর দেশটির একটি আদালত সোমবার তাকে এ দন্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। টি আর টি ওয়ার্ল্ড ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে নির্বাচনে তসিখানোস্কায়া প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকো’র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে লুকাশেনকো ষষ্ঠবারের মতো দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার এ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতা থাকার বিষয়টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

তসিখানোস্কায়া তাকে দোষী সাব্যস্ত ও কারাদণ্ড দানকে বেলারুশ কর্তৃপক্ষের প্রতিহিংসার প্রকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি “স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন”।

২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে দেশটির ইতিহাসের সবচাইতে বড় বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনে সরকার এবং বিক্ষোভাকারীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালায়। সে সময় চাপের মুখে তসিখানোস্কায়া লিথুনিয়ায় চলে যান। তসিখানোস্কায়া  ও বিরোধী দলের অন্য চার নেতাকে অনুপস্থিতিতে রাজধানী মিনস্কের একটি আদালতে বিচার করা হয়।

দেশ কেজিবিতে পরিণত:  বেলরুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টা আসামী পক্ষ শুন্য ছবি প্রকাশ করে। তাদের বিরুদ্ধে অন্য যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা হলো- চরমপন্থী গ্রুপ গঠন ও তার নেতৃত্বদান, ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি সাধন।

তসিখানোস্কায়া বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আদালতের নিয়োগ দেওয়া তার আইনজীবী একবারও তার সঙ্গে কথা বলেননি এবং মামলাটি রিভিউ করার তার অনুরোধেও কোনো সাড়া দেননি। তিনি বলেন, বেলরুশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার কোনো কার্যকারিতা নেই এবং রাষ্ট্র একটি বড় কেজিবিতে রূপন্তরিত হয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news