সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল অস্বস্তিতে, স্বাগত জানাল ইইউ

দীর্ঘ সাত বছর পর নতুন করে ফের দেশ দুটির এমন ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে শুক্রবার (১০ মার্চ) কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। ২০১৬ সালে সৌদিতে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

এদিকে ইরান-সৌদির এক হওয়ার বিষয়টিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ‘অস্থিরতা।’

এজন্য দেশটির বিরোধী দল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করে বলছেন, তিনি ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। যখন সৌদি ও ইরান আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে কাজ করছিল তখন তিনি নিজ স্বার্থ হাসিলে বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই সরকার ‘কূটনৈতিক ইস্যুগুলোকে অবহেলা করে আসছিল। তেহরান ও রিয়াদের এক হওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘শোচনীয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরাজয়।’

দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানজ বলেছেন, যখন ইসরায়েলের নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী আর তার সরকার একটি অভ্যুত্থান ঘটানোতে ব্যস্ত। অন্যদিকে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, সৌদি ও ইরানের এক হওয়ার বিষয়টি ‘কূটনৈতিক অবহেলা, সাধারণ দুর্বলতা এবং দেশের ভেতর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সংমিশ্রণ।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, যারা আমাদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন, তাদের নিজেদেরকেই  জিজ্ঞাসা করা উচিত কিভাবে তাদের সামনে দিয়েই বিষয়টি পরিপক্ক হল। পশ্চিমা এবং ইসরায়েলের দুর্বলতার কারণে ইরানের স্বীকৃতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এটিকে স্বাগত জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক মুখপাত্র পিটার স্টানো বলেন, এই চুক্তিটির সত্যিকারের বাস্তবায়নের  জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হলে এই অঞ্চলের মধ্যে  নিরাপত্তা হুমকি হ্রাসের পাশাপাশি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলেও মন্তব্য করেন পিটার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল সৌদিসহ আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন ইরানের সঙ্গে দেশটি আবারও কূটনৈতিকভাবে এক হওয়ায় আপাতত রিয়াদের সঙ্গে ইসয়ায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের আপাতত সম্ভাবনা নেই।

এনবিএস/ওডে/সি

news