সোমালিয়ায় খরায় মারা গেছে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ

বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গত বছর সোমালিয়ায় খরার কারণে রেকর্ড সংখ্যক ৪৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। যার অর্ধেকই ছিলো শিশু। যাদের বয়স ৫ বছরের নীচে। আফ্রিকার শৃঙ্গের বিশাল অঞ্চলে খরা দেখা দিয়েছে। তার প্রেক্ষাপটে এ মৃত্যুর পরিসংখ্যান করে দিলো।

রিপোর্টে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৩৪ হাজার মারা যেতে পারে বলে যে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার মারা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডব্লিউএইচও এবং জাতিসংঘ শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ) সোমবার রিপোর্টটি প্রকাশ করে। লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রফিক্যাল মেডিসিন রিপোর্টটি প্রণয়ন করে।

ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার প্রতিবেশি দেশ সোমালিয়ায় পরপর ছয় বছর বর্ষাকালে বৃষ্টি হচ্ছে না। সেই সঙ্গে খাদ্যদ্রবের দাম বৃদ্ধি ও ইউক্রেন যুদ্ধ সেখানকার ক্ষুধা সংকটকে আরো জটিল করে তুলেছে। জাতিসংঘ ও শরিকরা চলতি বছরের প্রথম দিকে জানায় যে, তারা এখনই সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষের আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেবে না। তবে তারা পরিস্থিতিকে চরম সংকটাপন্ন বলে উল্লেখ করে। কেবল সোমালিয়ায় ৬০ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন যাপন করছে।

খাদ্যের চরম অভাবের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সাথে সরাসরি ক্ষুধার কারণে বা অপুষ্টি এবং কলেরার মতো রোগে মানুষ মারা যায়। আনুষ্ঠিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষনার অর্থ হবে এক পঞ্চাংশেরও বেশি পরিবার চরম খাদ্য সংকটে আছে, ৩০ শতাংশেরও বেশি শিশু মারাত্মক পুষ্টির অভাবে ভুগছে এবং  প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে প্রতিদিন ২ জন মারা করে যাচ্ছে।

সোমালিয়ায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী আদম আব্দেলমওলা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে।’ কয়েকজন মানবিক ও জলবায়ু কর্মকর্তা চলতি বছর সতর্ক করে দেন যে, এবারের অবস্থা ২০১১ সালের চেয়েও খারাপ। ওই বছর সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষে আড়াই লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।

এনবিএস/ওডে/সি

news