দেশভাগের পর ভারত তো ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ই, দাবি শীর্ষ বিজেপি নেতার

সংঘ নেতারা ইতিমধ্যেই ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। দেশভাগের পর ভারত তো হিন্দু রাষ্ট্রই। এবার এমন মন্তব্য শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দুত্বের জিগির জাগিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর সংঘ পরিবার। বিজয়বর্গীয়র আগে সম্প্রতি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বলে দাবি করেছেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত। তিনি অবশ্য নতুন কিছুই বলেননি। দীর্ঘদিন ধরেই সংঘ পরিবারের দাবি, ভারত এক হিন্দু রাষ্ট্র। তবে, সেটা হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলার দাবি ছিল সংঘ পরিবারের। সেই দাবিরই বিবর্তন ঘটিয়ে বর্তমানে সংঘ পরিবার দাবি করতে শুরু করেছে যে ভারত ইতিমধ্যেই এক ‘হিন্দু রাষ্ট্র’।
তার মধ্যেই বিজয়বর্গীয়র মুখ থেকে ভারত ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ কথাটি শোনা গেল। মঙ্গলবার বিজয়বর্গীয় বলেছেন, স্বাধীনতার সময় দেশভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। যারা হিন্দু নন, তারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তার অর্থ তো ভারত ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ই। ইতিমধ্যেই সংঘ নেতাদের একাংশ ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি জানাতে শুরু করেছেন।

সেই ব্যাপারে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘যখন ভারত ভাগ হয়েছিল, তখন ধর্মীয় বিভাজন অনুযায়ীই ভাগ হয়েছিল। দেশভাগের পর পাকিস্তানে তৈরি হয়েছিল। তাহলে বাকি দেশ হিন্দু রাষ্ট্র।’ মধ্যপ্রদেশের এই প্রাক্তন মন্ত্রী জানান, তার যে সব মুসলিম বন্ধুরা ভোপালে থাকেন, তারা মনে করেন যে তাদের পূর্বপুরুষরা প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করতেন। আর, প্রতিদিন তারা শিব মন্দিরে যেতেন।

বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘আমি আমার মুসলিম বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি কীভাবে ভগবান হনুমান এবং শিবের উপাসনা করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন? আমার বন্ধু উত্তর দিয়েছিল যে যখন তিনি তার পরিবারের ইতিহাস পড়েছিলেন তখন জানতে পেরেছিলেন যে তার পূর্বপুরুষরা রাজস্থানের রাজপুত ছিল এবং তার কিছু আত্মীয় এখনও রাজপুত, যারা রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশেও বাস করেন।’ তবে তার ওই মুসলিম বন্ধুটি কে, তার কোনও নাম এবং পরিচয় বিজয়বর্গীয় প্রকাশ করেননি।

এনবিএস/ওডে/সি

news