শান্তিনিকেতনে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ছাদে ওঠা, কাপড় মেলা বন্ধ!

 শান্তিনিকেতন আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, এ খবর আগেই জানা গিয়েছিল। সেদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের ভিতরে সাপ তাড়ানোর বন্দোবস্তও শুরু করেছিল বন দফতর। আর এবার বলা হল, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার যেখানে নামবে, মঙ্গলবার সেইসময় বা তার আগে আশেপাশের সমস্ত বাড়িতে ছাদে ওঠা, কাপড় মেলাও যাবে না।

এমন নির্দেশ কেন, তাও পরিষ্কার করে বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ নিয়ে বলেন, ‘কেবলমাত্র হেলিপ্যাড সংলগ্ন বাড়িগুলির ছাদে কাপড় মেলতে বা সেখানে গিয়ে কাউকে দাঁড়াতে বারণ করা হয়েছে। কারণ, কোনওভাবে যদি হাওয়ায় কাপড় উড়ে গিয়ে হেলিকপ্টারে লেগে যায়, তাহলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে। তাই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার খাতিরে এই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মানুষজন নিশ্চয়ই আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’

বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা বজায় রাখতে তিনদিন আগে থেকেই মাঠ সংলগ্ন বাসিন্দাদের ছাদে ওঠা ও কাপড় শুকোতে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শান্তিনিকেতনের রাস্তায় রাস্তায় রীতিমতো মাইকিং করে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই না, শনিবার থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও।

রোববার বিশ্বভারতীতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে একদফা হেলিকপ্টার ওঠানামার ট্রায়াল হয়েছে। ওই এলাকাকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাই এই ক’দিনের মধ্যে কেউ যদি সেখানে ড্রোন, বেলুন জাতীয় কিছু ওড়ান বা ওড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্বভারতীতে সাপের উপদ্রব, বাঁদরের উৎপাত নিত্যদিনের ঘটনা। সেটাও যাতে না হয়, সেদিকে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর।

এনবিএস/ওডে/সি

news