পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে ইমরান খানের ১০ দফা পরিকল্পনা

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানের সমাবেশে এই পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বার বার আইএমএফের কাছে না গিয়ে প্রবাসী পাকিস্তানিদের দেশে সরাসরি বিনিয়োগের জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে।

রোববারের এই সমাবেশে তিনি ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ক্ষমতাসীনদের হাতে পাকিস্তানের সংকট উত্তরণে কোনো পরিকল্পনাই নেই। তিনি বলেন, ‘শাসকদের সেই ক্ষমতা যেমন নেই, তেমনি ইচ্ছাও নেই।’

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমি জানি তাদের হাতে কি প্রোগ্রাম আছে...কোনো প্রোগ্রাম নেই।’ তিনি বলেন, ‘যারা রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য ডলার নিয়ে আসছে তাদেরকে আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে।’

অতিতে পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য আইএমএফের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে। যখন পাকিস্তান অর্থনৈতিক মোকাবিলার জন্য প্রান্তিক পরিস্থিতিতে আছে, তখন আইএমএফের সঙ্গে শুধু আলোচনাই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কর আদায় ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বড় ধরনের সার্জারি দরকার।’ দেশে ২২০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে মাত্র ২.৫ মিলিয়ন লোক কর প্রদান করে থাকে। তিনি বলেন, ‘করের আওতা বাড়িয়েছেন।’ তরুণদের ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য ঋণ প্রদান করার প্রস্তাব দেন তিনি।    

দৈনিক পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশকে সংকট থেকে উদ্ধারে ১০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করে ইমরান খান বলেছেন, এই পরিকল্পনা পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা করবে। পিটিআই নির্বাচিত হলে তার সরকার পর্যটন খাতের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে। সরকারের আয় বাড়াতে খনিজ সম্পদ খাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পুনরুজ্জীবিত হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।

তিনি বস্তিবাসীদের জন্য ঘর নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য কার্ড আবার চালু করা হবে। দেশকে সংকট থেকে বাঁচাতে এমন আরও কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ইমরান খান। তার মতে, পাকিস্তানের বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার কোনো ‘সহজ পথ’ নেই। এ জন্য কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news