ধর্ষণ ও সহিংসতার শিকার উত্তর কোরিয়ার লাখো তরুণী

 চীনের সীমান্তবর্তী এলাকা লিয়াওনিং, হেইলংজিয়াং ও জিলিন প্রদেশে (‘রেড জোন’ নামে পরিচিত) এসব অপরাধ বিস্তারের নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠেছে। মূলত উত্তর কোরিয়ার তরুণী ও নারীদেরকে এসব কাজে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল রাইটস। কাজ দেওয়ার কথা বলে আগে থেকেই  কিছু না জেনেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন এসব অসহায় তরুণীরা।

মূলত এসব নারী ও তরুণীরা উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের নান কঠোর নিয়ম থেকে বাচতে পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে এসে থাকে আশ্রয় লাভের শায়। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অঞ্চলে দিনদিন নারী ও তরুণীরা নানা হিংস্রতার শিকার হচ্ছেন।

আরেকটি প্রকাশিত সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হলো মূলত ১২ বছর বয়সী কিশোরিরাই পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকছেন। এছাড়াও ৫ লাখ তরুণীকে জোর পূর্বক বিয়েসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য বাধ্য করা হয়ে থাকে। ডেইলি মেইল

টেলিগ্রাফ সূত্রে জানা গেছে, দেশটির এসব তরুণীদে অবৈধ গর্ভপাতেরও শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনা চীন ও উত্তর কোরিয়া সীমান্তে ঘটছে বলেও জানিয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা।

এদিকে গেল্লাবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক আইন উপদেষ্টা সোফিয়া ইভানগেলু দি টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন, কোভিড মহামারির সময় এসব তরুণীরা আটকা পড়ে এই সীমান্তে। তবে ঠিক কতজন রয়েছেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানা না গেলেও আনুমানিক সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি হতে পারে।

এসব নারী-পাচার ও অবৈধ কার্যকলাপ থেকে ১০৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাচারকারীরা। দি টেলিগ্রাফ   
এমনই এক ভূক্তভুগী নারী হিউমান রাইটসকে জানান, তাকে চীনের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যক্তি তাকে প্রতিনিয়ত নিষ্ঠুরভাবে প্রহার করত যাতে অন্তঃস্বত্তা না হয়ে পড়েন তিনি।

প্রতিবেদন সূত্রে জানান যায়, আরেক নারীর অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি আড়াল করতে তাকে লেবার ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহখানেক বাদে নদীতে ভিকটিমের কঙ্কাল সমৃদ্ধ মরদেহ ভাসতে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া হতে পালিয়ে আসা এসব শরণার্থীরা আশ্রয়ের খোঁজে চীনে আসার ফলে পাচারকারীদের কবলে পড়ে বাধ্য হয়েই মাদক, পাচার, অপহরণ ছাড়াও ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে। এমনকি দেশটির  নারীরা এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার সন্তান জন্ম দিয়েছেন যাদের কোন জন্মনিবন্ধন নেই চীনে। অথচ এসব সন্তানের জন্মদাতা পিতা হিসেবে চীনের পুরুষরাই দায়ী। তাই এসব ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য ইউএস স্টেট ডিপার্ট্মেন্টের

এনবিএস/ওডে/সি

news