প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ইরান

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইরান কোনো সীমারেখা মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি। তিনি গতকাল (সোমবার) তেহরান সফররত কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুলআজিজ আল-খুলাইফির সঙ্গে এক বৈঠকে তার দেশের এ অবস্থান তুলে ধরেন।

শামখানি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি প্রতিবেশী-বান্ধব যে কূটনীতি চালু করেছেন তার ফলে সবগুলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে তেহরান। আর এক্ষেত্রে কোনো সীমারেখা মানা হবে না।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি ইরানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে মনযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দোহাকে ধন্যবাদ জানান শামখানি। তিনি বলেন, তেহরান ও দোহার মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বসুলভ ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেল হয়ে উঠতে পারে। ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বৈঠকে কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভুয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান। আল-খুলাইফি বলেন, ইরানের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় কাতার। তিনি বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস্ /২০২৩/একে

news