ইসরাইলি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান ছাত্রীদেরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
ইসরাইলের একজন সাবেক প্রধান শিক্ষিকা অস্ট্রেলিয়ার একটি আল্ট্রা- অর্থডক্স ইহুদি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে যৌণ নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। সোমবার একটি জুরি বোর্ড জানিয়েছে, মালকা লেইফার ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে দুই বোন ডাসি আরলিক ও ইলি সাপারের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেছে। তবে তাদের আরেক বোন নিকোলি মায়েরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৫৬ বছর বয়সী লেইফার তার বিরুদ্ধে আনা ডজন ডজন অভিযোগ খন্ডানোর জন্য আবেদন করেন এবং ইসরাইল থেকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বছরের পর বছর ধরে। অবশেষে, ২০২১ সালে ইসরাইলের একজন বিচারপতি তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন।
ভিক্টোরিয়া রাজ্যের একটি আদালতে ছয় সপ্তাহের ট্রায়াল শেষে বলা হয়, লেইফার মেলবোর্ন অ্যাডাস ইহুদি স্কুলটির শিক্ষিকা হিসেবে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। স্কুলটিতে ঐ তিন বোন পড়াশুনা করতো। তিন বোন অভিযোগ করে, স্কুলের বন্ধ ক্লাসরুম, ক্যাম্পাস এবং প্রধান শিক্ষিকার রুমে লেইফার তাদেরকে যৌন নির্যাতন করে।
প্রসিকিউটর জাস্টিন লুইস যুক্তি দেখিয়ে বলেন, লেইফার ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে অতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি তার অবস্থান ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিন বোন লেইফারের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করার মতো সাহস দেখাতে পারেনি। প্রসিকিউটর আরো বলেন, যৌনতার ভালো-মন্দ বিষয়ে ঐ তিন বোনের ধারণাও তেমন একটা ছিল না। প্রধান শিক্ষিকা যখন বুঝতে পারেন, মেয়েরা তার বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নয়, তখন তিনি অন্য কৌশল গ্রহণ করেন। শিক্ষিতা বলেন, তিনি তাদেরকে অনেক ভালোবাসেন এবং তাদের সহযোগিতা করবেন।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠার পরই লেইফার ২০০৮ সালে ইসরাইলে ফিরে যান। আট সন্তানের মা লেইফারকে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে গ্রেফতার করা হয়। তবে এর দুই বছর পর ইসরাইলের একটি আদালত তার অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যর্পনের বিষয় বাতিল করে জানায়, শিক্ষিকা বিচারের মুখোমুখি হতে মানসিকভাবে প্রস্তত নন। তবে প্রাইভেট তদন্তকারীরা ঐ শিক্ষিকার শপিং করা এবং ব্যাংকে চেক ভাঙানোর ছবি প্রকাশ করলে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে।
এনবিএস/ওডে/সি


