কোটিপতি বালিকা অবসর নেবে ১৫ বছরে 

 সে এক বিস্ময়কর অস্ট্রেলিয়ান বালিকা। নাম পিক্সি কার্টিস। যার মাসিক আয় কোটির ওপরে।  মাত্র ১১ বছর বয়সে কোটিপতি হয়েছে পিক্সি। একেবারে নিজের চেষ্টায়, নিজের রোজগারে কোটিপতি হয়েছে পিক্সি। আর অবসর নিতে চায় ১৫ বছর বয়সে। তারপর ফের মন দেবে পড়াশোনায়। 
পিক্সি ওর বয়সী আর পাঁচজন স্কুলছাত্রীর থেকে একেবারেই আলাদা। কম বয়সেই স্কুল আর বইপত্র ছেড়েছে। মন দিয়েছে নিজের ব্যবসায়। আর সেই ব্যবসা করেই মাসে এখন তার রোজগার লাখ লাখ পাউন্ড।পিক্সির মায়ের নাম রক্সি জাসেঙ্কো। পেশায় তিনি পাবলিসিস্ট। মেয়ের ব্যবসার প্রচারেও সাহায্য করেন মা। পিক্সি, বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সিডনিতে বাস করে। ২০২১ সালে মা আর মেয়ে রঙিন খেলনা তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি শুরু করে। রাতারাতি বিখ্যাত হয় তাদের খেলনা। সেই খেলনা ধীরে ধীরে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে প্রতি মাসে এখন পিক্সি রোজগার করে ১ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা কোটি টাকারও বেশি। 

পিক্সি এখন খেলনার পাশাপাশি চুলের সাজপোশাকও তৈরি করে বিক্রি করে। বেশির ভাগটাই অনলাইনে। পিক্সির চুলের সাজপোশাকের ব্র্যান্ডের নাম পিক্সি বাও। আর খেলনার ব্র্যান্ডের নাম পিক্সি ফিজেডস। যদিও খেলনার থেকে এখন চুলের সাজপোশাকের ব্যবসাতেই বেশি নজর দি্েচ্ছ পিক্সি। গাড়ি চালানোর সার্টিফিকেট পায়নি সে। তবে ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছে মার্সিডিজ। দাম ৪৩ হাজার পাউন্ড। 

এখানেই শেষ নয়, পিক্সি নিজের রোজগারের টাকা খরচ করে কেনাকাটাতেই। তার অন্যতম শখ হলো বিখ্যাত মার্কেটের মূল্যবান জিনিসপত্র কেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কেনাকাটার ফিরিস্তিও দেয় পিক্সি। সামাজিকমাধ্যমে পিক্সির ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার।

সমাজ যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা শেষ ভিডিওতে পিক্সি জানিয়েছে, শেষ রোববার কী কী কেনাকাটা করেছে সে। বয়স কম হলেও পিক্সির প্রসাধনী সামগ্রী দারুণ পছন্দ। এসবের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে সে। পিক্সির এই কেনাকাটার বহর দেখে সমাজমাধ্যমে অনেকেই বিরক্ত। অনেকেই আবার টিপ্পনী কেটেছেন। লিখেছেন, ‘এই বয়সে এত মেকআপের দরকার পড়ে কেন?’ অন্যজন আবার লিখেছেন, ‘নিজের রোজগারের টাকায় ওর যা ইচ্ছা, ও তা-ই করবে। কার কী বলার থাকতে পারে?

এনবিএস/ওডে/সি

news