মেক্সিকোর একটি ওয়াটার পার্কে বন্দুকধারীর হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৭


স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার মধ্য মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতোর কর্টাজার শহরের পার্কে হামলার ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন পুরুষ ও সাত বছর বয়সী শিশুটির মরদেহ দেখতে পায় বলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এসময় একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। গুয়ানাজুয়াতোর দক্ষিণে ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দূরে অবস্থিত পার্কটতে হামলার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসময় ছড়িয়ে পড়ে। তবে হামলার জন্য কে বা কারা দায়ি সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে এএফপি জানিয়েছে, মধ্য মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতো প্রদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদক বিষয়ে সহিংসতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলের বসন্তকালীন ছুটির ঠিক শেষ দিনে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় লা পালমা সুইমিং রিসোর্টে বন্দুকধারীরা পৌঁছানোর পর একদল লোককে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহুর্তে ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা ক্যামেরাও নিয়ে যায় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

দেশটির টেলিভিশন নেটওয়ার্ক টিভি অ্যাজটেকার ওয়েবসাইটে হামলার পরপরই পরিস্থিতি তুলে ধরে সেখানকার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে আতঙ্কগ্রস্ত বেশ কিছু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের দেখা যায়। সেসময় তাদের অনেকেই সাঁতারের পোশাক পরিহিত ছিলেন।

অন্যদিকে স্থানীয় একটি পত্রিকা ডিবেট নটিকিয়াজের ওয়েব সাইটেও দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এমন একজন জানান – হামলার সময় অনেকেই মেঝেতে পড়ে যান আর বেশ সংখ্যক ভিকটিম প্রচন্ড ঘন ধোঁয়ার মধ্যে চেয়ারে বসে পড়েন।

হামলার শিকার এই সুইমিং রিসোর্টটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পাশেই অবস্থিত। হামলার পরে স্থানটিতে বিপুল সংখ্যক সামরিক এবং প্রাদেশিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মূলত দেশটির গুয়ানাজুয়াতো প্রদেশ একটি সমৃদ্ধ শিল্প অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তাছাড়াও মেক্সিকোর বেশ জনপ্রিয় কিছু পর্যটন স্পটও অবস্থিত এখানে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে আরো রয়েছে  একটি শোধনাগার ও একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পাইপলাইন।

সান্তা রোসা দে লিমা এবং জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেল নামক দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস প্রদেশে পরিণত হয়েছে। অপরাধী দলগুলো মূলত মাদক ও চোরাই জ্বালানি পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণের জন্য একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে থাকে ।

দেশটিতে ২০০৬ সালে সরকার মাদক কারবারিদের দমনে মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় দেশজুড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি প্রাণহানির রেকর্ড করা হয়েছে। এই অভিযানগুলো সেনাবিহিনী পরিচালিত করেছিল।

এনবিএস/ওডে/সি

news