বিবিসিকে ইমরান খান, ‘আমার কোনো সংকট নেই’

পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত কয়েক সপ্তাহ অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছেন। তার হাজার হাজার কর্মী কারাগারে। দেশজুড়ে তার প্রায় ২০ জনের মতো সিনিয়র নেতা দলত্যাগ করেছেন। দলটি নিষিদ্ধও হতে পারে। তাকে যে কোনো সময় সামরিক আদালতেও তলব করা হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতেই বিবিসির পাকিস্তানের সংবাদাতা ক্যারোলিন ডেভিস লাহোরে ইমরান খানের জামান পার্কের বাড়িতে বসে একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের শুরুতে ইমরান খান ও তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরলে তিনি শুরুতেই বলেন, ‘আমার কোনো সংকট নেই, আমি তা মনে করি না।’

সাক্ষাৎকারটি একটি পোর্টাকেবিনে বসে নেওয়া হয়েছে। ইমরান খান এই কেবিনটিকে একটি মিডিয়া রুমে পরিণত করেছেন। এখান থেকেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করেন এবং তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন।

বিবিসির সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনটিতে পিটিআই ছেড়ে যাওয়া সাবেক সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী ও ইমরান খানের মানবাধিকারকর্মী শিরিন মাজহারির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইমরান খান বলেন, ‘শূন্য পদগুলো পূর্ণ করে পিটিআইকে আমি নতুনভাবে সাজাবো। সুতরাং এক্ষেত্রে দলে তরুণরা আসবে, নতুন লোকজন যুক্ত হবে। তারাও গ্রেপ্তারও হতে পারে।’

এভাবে কি একটি রাজনৈতিক দর চলতে পারে - এমন প্রশ্নের জবাবে খান বলেন, ‘আপনি অল্প সময়ের জন্য এই ধরনের সন্ত্রাসী কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। পুরো পরিস্থিতি অস্থিতিশীল।’ কিন্তু এর মাধ্যমে দলের ভাঙ্গন রোধ করা যাবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।

এক সময় তার বাড়ির গেইটটি মুখরিত থাকতো দলের কর্মী ও সমর্থকদের ভীড়ে। এখন বাড়িটিতে দেখা যায় শুধু আইনজীবীদের যাতায়াত। এখন তিনি আপোষের কথা বলছেন। তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার কারণেই তিনি ক্ষমতা হারিয়েছেন। এখন তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি বলেন, ‘যারা মনে করে পাকিস্তানের রাজনীতি সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন।’

ইমরান খান বলেন, ‘আমার প্রশ্ন জাগে, তারা কী মনে করে? আমি বলতে চাই আমাকে এই দৌড় থেকে সরিয়ে দিলে পাকিস্তান কী লাভবান হবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু এই পুরো পরিস্থিতি দেখছি, অপেক্ষা করুন এবং দেখুন। তারা সম্ভবত আমাকে জেলে ঢোকাবে। কিন্তু এসব মেনে নেবো এবং নীরব থাকবো, তা হবে না।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news