ফোন উদ্ধারে পানি সেচে ফেলা সেই সরকারি কর্মকর্তার ২১ লাখ টাকা জরিমানা
সম্প্রতি ফোন উদ্ধারের জন্য খালের ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলার অপরাধে ভারতের ছত্তিশগড়ের একজন সরকারি কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এমনকি শাস্তি হিসেবে পানির পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম রাজেশ বিশ্বাস। তিনি ভারতের ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকের খাদ্য দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। গত রোববার বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে খেরকাট্টা বাঁধে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানে সেলফি তোলার সময় তার এক লাখ রুপি দামের ফোন পানিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ফোন খুঁজতে গত তিন দিন ধরে ১৫ ফুট গভীর খালের পানির ১০ ফুটই পাম্পের মাধ্যমে সেচে ফেলার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
পানি তোলার খবর পেয়ে স্থানীয় সেচ দপ্তরের কর্মকর্তারা এসে পানি তোলা বন্ধ করেন। সেচ দপ্তর জানিয়েছে, যে পরিমাণ পানি তুলে ফেলা হয়েছে, সে পরিমাণ পানি দিয়ে অন্তত ১৫০০ একর জমি চাষ করা যেত।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য ওই কর্মকর্তার শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে। শেষমেশ তাকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে ইন্দ্রাবতী প্রকল্পের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার স্থানীয় মহকুমাশাসক আর কে ধীবরকে চিঠি লিখে অভিযুক্তের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে খাদ্য দপ্তরের ওই কর্মকর্তাকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
যে পরিমাণ পানি তুলে ফেলা হয়েছে, তাতে গ্রীষ্মকালে সেচ এবং চাষের কাজ অত্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে ইন্দ্রাবতী প্রকল্পের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


