পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সংকটে থাইল্যান্ডের গণতন্ত্র
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত কোনো প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, জনগণ যাকে নিরঙ্কুশভাবে ভোট দিয়েছে তার বিষয়ে পার্লামেন্টেও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাতের হেরে যাবার পেছনে প্রধান কারণ তার বিরুদ্ধে দেওয়া ভোট এবং ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার ঘটনা।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পিটার নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটের আসন সংখ্যা ৩১২টি। প্রধানমন্ত্রী হতে ৩৭৫টি আসন পেতে তার প্রয়োজন ছিল রক্ষণশীল উচ্চকক্ষের ২৪৯ সদস্যের সমর্থন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্যরা সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে নিয়োগ পান।
ভোটগ্রহণ শেষে পিটা ৩২৩ ভোট পান, যার মধ্যে ১৩ জন সেনেটরের ভোটও ছিল। থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট এই তথ্য দিয়েছে। নির্বাচনে ১৮২ জন আইনপ্রণেতা পিটার বিপক্ষে ভোট দেয় এবং ১৯৮ জন ভোটদানে বিরত থাকে।
এই ভোটাভুটি গত ১৪ মে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ের পরও দলটির নেতার প্রধানমন্ত্রী হতে না পারা নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কাকেই সামনে নিয়ে আসছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পিকার পরবর্তীতে আবারও ভোটের আয়োজন করবেন। তার জন্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। ভোটের পর পিটা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি ভোটের ফলাফল মেনে নিয়েছি। তবে দমে যাবো না আমি।’
তিনি বলেন, ‘নীতি থেকে নড়বো না আমরা। জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেখান থেকে বিন্দুমাত্রও নড়বো না।’ তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, থাইল্যান্ডে রাজপরিবারকে কোনো আলোচনা নিষিদ্ধ থাকলেও তার দল তা সংশোধনের জন্য যে প্রচারণা চালানো হয়েছে, সেখান থেকেও তিনি সরবেন না।
তার দলটি ৭০ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে তার আমূল কাঠামোগত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীতে পরিবর্তন, অর্থনীতি ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


