মিয়ানমারে ফের বাড়ছে জরুরি অবস্থার মেয়াদ
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন জান্তা প্রধান। বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘সারাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এখনো অনেক কিছু করতে হবে এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে।’ আগের জরুরি অবস্থার মেয়াদ এমাসের শেষ দিকে শেষ হয়ে যাবে। সূত্র: ইরাবতি
যদি জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয় তাহলে আগামী ছয় মাস দেশটি সামরিক শাসনের আওতায় থাকবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তখন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সেই সময় থেকেই মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দেশটির সংবিধান অনুসারে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর প্রাথমিকভাবে এক বছর স্থায়ী হবে এবং নিয়ম অনুসারে এই জরুরি অবস্থার মেয়াদ আড়াই বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেটা হবে ন্যাশনাল ডিফেন্স এ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের পরামর্শ অনুসারে।
গত ১ জানুয়ারি সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং তৃতীয় বারের মতো ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছেন। সরকার বিরোধী প্রতিরোধ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি অবনতির দিকে চলে গেছে।
৩১ জুলাই জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হ্লাইং তার মন্ত্রীদের বলেছিলেন, তিনি যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সম্ভব হবে না। সুতরাং প্রতিশ্রুতি অনুসারে নির্বাচনে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতাও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


