নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষে শতাধিক নিহত

নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ধারাবাহিক হামলা-সহিংসতায় এ বিপুল প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মধ্য নাইজেরিয়ার বিভিন্ন শহরে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালান হচ্ছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির এই অঞ্চলে আগে থেকেই ধর্মীয় এবং জাতিগত উত্তেজনা রয়েছে এবং এর মধ্যেই প্রাণঘাতী হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। 

স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এই সপ্তাহান্তে চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৩ জনে পৌঁছেছে। প্রাথমিকভাবে হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৬ বলে জানানো হয়েছিল। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর সদস্যদের কখনও কখনও ‘দস্যু’ও বলা হয়ে থাকে।

বোকোসের স্থানীয় সরকারের প্রধান মনডে কাসাহ বলেছেন, ‘শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাত সোমবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে ১১৩ জনের মতো নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত জানা গেছে।’

কাসাহ বলেছেন, সমগ্র অঞ্চলজুড়ে কমপক্ষে ২০টি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ‘সমন্বিত’ চালান হয়।  এতে ৩০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। গভর্নর কালেব মুতফওয়াংয়ের মুখপাত্র গিয়াং বেরে বলেছেন, ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান হামলা রোধে সরকার সক্রিয় পদক্ষেপ নেবে।’ অবশ্য এই হামলার জন্য দায়ী কে তা বলেননি কাসাহ। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, আহতদের বোকোস, জোস এবং বারকিন লাদির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

নাইজেরিয়ার এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে ভিন্নমতাবলম্বী জাতিগোষ্ঠী বাস করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেখানে গোষ্ঠীগত সংঘাতে শত শত মানুষের প্রাণ গেছে।এসব সহিংসতাকে প্রায়ই মুসলিম পশুপালক ও প্রধানত খ্রিস্টান কৃষকদের মধ্যকার জাতিগত-ধর্মীয় দ্বন্দ্ব হিসেবে তুলে ধরা হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি সম্প্রসারণও এসব সংঘাতের অন্যতম কারণ।

এদিকে স্থানীয় রেড ক্রস বোকোস অঞ্চলের ১৮টি গ্রামে ১০৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্য ডিকসন চোলোমের মতে, বারকিন লাদি এলাকার কয়েকটি গ্রামে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news