বিশ্বব্যাপি সাড়া জাগিয়েছে হালাল ট্যুরিজম: শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া

বিশ্ব পর্যটন শিল্পের এই নতুন সম্ভাবনা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চাহিদাকে উপজীব্য করেই দ্রুত বেড়ে উঠছে।

২০১৪ সালের এক হিসেবে দেখা যায়, হজ ও ওমরাহ বাদে মুসলমানরা পর্যটনের জন্য ব্যয় করেছে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার-যা বিশ্বের মোট পর্যটন ব্যয়ের ১১ শতাংশ। মাঝখানে করোনার কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার হাওয়া লেগেছে এই শিল্পে। ( বিবিসি ২০-০৫-২০২৪) 

ইসলামের মূলনীতি মেনে চলা মুসলিমদের জন্য সাধারণ পর্যটন গন্তব্যগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিব্রতকর। বিশেষ করে খাবার. ও রাত্রিযাপন বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। 

বিমানের টিকেটিং থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা ও পরিবার নিয়ে সুস্থ বিনোদনের জন্য নিজেদের জীবনধারার সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থার মুখোমুখি হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই সমস্যার সমাধান দিচ্ছে হালাল ট্যুরিজম, ইসলামি রীতি মেনে সব আয়োজন করা হচ্ছে। (সিঙ্গাপুর কুরিয়ার ২২-০৫-২০২৪)   

বর্তমানে হালাল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করা বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ‘হালাল ট্রিপ’ ধারণা করছে ২০২৮ সালের মধ্যে হালাল ট্যুরিজমের বাজার হবে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। (আরব নিউজ ১৬-০৫-২০২৪)  

হালাল ট্যুরিজমের আবির্ভাব যুক্তরাষ্ট্রের নাইন-ইলেভেন ঘটনার পর। তুরস্ক, মিশর, সৌদি আরব, আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া প্রথম হালাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপি হালাল হোটেলের পরিসর অনেক বেড়েছে। বিমান সংস্থাগুলোও হালাল খাদ্য পরিবেশন করছে। আর এজন্যই হালাল ব্রান্ডিংয়ের ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এই টুরিজমের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি গন্তব্য হলো তুরস্ক ও মিশর।  (রডিও তেহরান ২৩-০৫-২০২৪)।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news