রাফাহ’র কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলি ট্যাংক বহর

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো রাফাহর কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে যায় ইসরায়েলি ট্যাংক। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাফাহর পশ্চিমাঞ্চলেও মঙ্গলবার দিনের বেলায় ভয়াবহ  বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এপি জানায়, এতে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে রোববার রাতে রাফায় নিরাপদ ঘোষিত অঞ্চলে শরণার্থী তাঁবুতে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় ইসরায়েল। তাল আস-সুলতান এলাকায় বিমান হামলায় ২৩ নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের অনেকে জীবন্ত পুড়ে মারা যান। শিশুদের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত হন আর আড়াইশ’ ফিলিস্তিনি।

এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। আইসিজের আদেশ মেনে রাফাহ’য় হামলা বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ। আলজেরিয়ার আবেদনে  জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠকও আহ্বান করা হয়েছে।

 আইসিজের আদেশ ও রোববারের হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বৈশ্বিক নিন্দা উপেক্ষা করে রাফাহ’য় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্য রাফাহ’র আল-আওদা মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংকের উপস্থিতি দেখা গেছে।

ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো পশ্চিম রাফাহ’র আরও ভেতরে ঢুকে পড়েছে। কিছু ট্যাংক পশ্চিম রাফাহ’র জুরুব এলাকায় পাহাড়ি উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। সেখানে হামাসসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াই চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাফাহ’য় ইসরায়েলি বাহিনী দূরনিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া যান ব্যবহার করছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু সাঁজোয়া যানের ভেতরে বা আশপাশে তাৎক্ষণিক কোনো সেনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news