মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল দিন দিন প্রকট হচ্ছে। পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দূতাবাসে কর্মী হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া, গাজা ও ইরান ইস্যুতে ভিন্নমত, এবং মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে দ্বন্দ্ব তাদের দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক পাঁচ কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন থাকলেও, অনেকেই এখন ইসরায়েলকে অংশীদার হিসেবে দেখলেও অতিরিক্ত ছাড় দিতে রাজি নন। বিশেষ করে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দুনিয়ার সমালোচনা, এবং হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে উপেক্ষা করায় সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ফিলিস্তিন সমর্থক এক বন্দুকধারীর হামলায় দুই ইসরায়েলি কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ট্রাম্প ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বললেও, তিনি এটিকে ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের সমান মনে করছেন না। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ হামলাকে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের সূচনা হিসেবে দেখছেন।
নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে গাজা ও ইরান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তবে হোয়াইট হাউস সূত্র বলছে, নেতানিয়াহু ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে।
এদিকে, ইউরোপ ও কানাডা গাজায় ইসরায়েলের ‘জঘন্য’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। ইসরায়েলের দৈনিক হারেৎজ সতর্ক করে বলেছে, "কূটনৈতিক সুনামি" এরই মধ্যে আঘাত হানতে শুরু করেছে।


