ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তাকে "মহা কাপুরুষ" বলে অভিহিত করেছেন। এল সালভাদরে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের অপহরণ ও কারাবন্দির বিষয়ে তুর্কের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণেই তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাদুরো জানান, এল সালভাদরের একটি শরণার্থী শিবির থেকে ২৫৩ জন ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে বিনা বিচারে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অথচ এই ঘটনায় জাতিসংঘের হাইকমিশনারের নিরবতা হতাশাজনক।

তিনি দাবি করেন, এসব অভিবাসীদের রাজনৈতিক বন্দীদের বিনিময়ে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা মানবাধিকারের অবমাননা। মাদুরো বলেন, “এই মানবাধিকার ব্যবস্থা এখন সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিণত হয়েছে, যারা বিদেশি অর্থায়নে আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, ভেনেজুয়েলার সাম্প্রতিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দল উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যেখানে তার দল প্রায় ৮৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

মাদুরোর বক্তব্যে জাতিসংঘের প্রতি হতাশা ও ক্ষোভ স্পষ্ট। তিনি তুর্ককে “নির্বিকার ও পক্ষপাতদুষ্ট” আখ্যা দিয়ে বলেন, “মানবাধিকার রক্ষার নামে যারা নিরীহ মানুষের কণ্ঠরোধ করে, তারা আদতে মানবতার শত্রু।”

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভেনেজুয়েলা ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

news