ইসরায়েলের চালানো একাধিক বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এই হামলায় সালামি ছাড়াও ইরানের সামরিক ও পরমাণু কর্মসূচির শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রাণ হারান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

৬৫ বছর বয়সী সালামি ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামোর অন্যতম কৌশলগত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বরাবরই কড়া অবস্থান নিয়ে আসছিলেন। এক মাস আগেই তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরানের ওপর কেউ হামলা চালালে, তেহরান নরকের দরজা খুলে দেবে।”

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

হামলায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ডেপুটি কমান্ডার গোলামালি রশিদ এবং পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেয়দুন আব্বাসি ও মেহেদি তেহরানচি-সহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

সালামি তার সামরিক জীবনে বহুবার ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। ১৯৮০ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় বিপ্লবী গার্ডে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে ডেপুটি এবং ২০১৯ সালে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সাল থেকে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছিল, কারণ তিনি ইরানের পরমাণু ও সামরিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

তার মৃত্যুর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং এটি একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

news