যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর উত্তেজনা চূড়ায় পৌঁছেছে। এবার সবার দৃষ্টি ইরানের দিকে—কীভাবে পাল্টা জবাব দেবে তেহরান? ইরান ইতোমধ্যেই তাদের সামরিক ও কৌশলগত শক্তি প্রস্তুত রেখেছে। গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, মার্কিন ঘাঁটিগুলোর দিকে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে।

ইরানের সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র হলো ‘সিজিল-২’ ব্যালিস্টিক মিসাইল, যার রেঞ্জ ২,০০০ কিলোমিটার—মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব মার্কিন ঘাঁটি এই রেঞ্জের মধ্যে পড়ে। ইরান ইরাক, সিরিয়া এবং আরব দেশগুলোতে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। তবে ২০২০ সালে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার মতো ব্যর্থতার সম্ভাবনাও থাকছে।

তেহরান চাইলে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে—যেখান দিয়ে বিশ্বে ব্যবহৃত মোট তেলের এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ হয়। এটি করলে কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীনসহ অনেক দেশ ক্ষুব্ধ হতে পারে। এছাড়া ইরান সৌদি আরব ও আমিরাতের তেল অবকাঠামোতেও হামলা চালাতে পারে, যেমনটা ২০১৯ সালে আবকায়েকে হয়েছিল।

আরেকটি বড় আশঙ্কা সাইবার হামলা। ‘CyberAv3ngers’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি অবকাঠামোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের সাইবার সক্ষমতা এখনও বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো নয়।

তবে ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস বা হুতি বিদ্রোহীরা এ সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করতে পারে।
সব মিলিয়ে, ইরানের কাছে বিকল্প প্রচুর থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমীকরণকে মাথায় রেখেই তেহরানকে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যুদ্ধ ছড়িয়ে গেলে তা আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

news