যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইস্পাহানে অবস্থিত এই স্থাপনাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
১. নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা
নাতাঞ্জে রয়েছে ছয়টি ভূ-উপরিস্থ ও তিনটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এখানে প্রায় ৫০ হাজার সেন্ট্রিফিউজ রাখার ক্ষমতা রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে এই কেন্দ্র চালু রয়েছে এবং আইএইএ জানিয়েছে, ইরান এখানে ৬০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। গত ইসরায়েলি হামলায় এই স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২. ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনা
ফর্দো স্থাপনাটি পাহাড়ের ৮০-৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত, যা ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন। গবেষণা সংস্থা আইএসআইএসের মতে, এখানে মাত্র তিন সপ্তাহে ৬০% সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম থেকে ২৩৩ কেজি অস্ত্র-মানের ইউরেনিয়াম তৈরি করা সম্ভব। বর্তমানে এখানে ২,৭০০ সেন্ট্রিফিউজ সক্রিয় রয়েছে।
৩. ইস্পাহান পারমাণবিক কমপ্লেক্স
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ইস্পাহানে প্রায় ৩,০০০ বিজ্ঞানী কাজ করেন। এখানে চীনের সহায়তায় নির্মিত তিনটি গবেষণা চুল্লি, জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং পারমাণবিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।
এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এর ফলে ইরান-মার্কিন উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


