চলতি বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে আসতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
এ মুহূর্তে মস্কো সফরে রয়েছেন দোভাল, উদ্দেশ্য—ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা। আজ বৃহস্পতিবার তিনি মস্কোতে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সচিব সের্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করা হয়।
যদি সফরটি চূড়ান্ত হয়, তাহলে ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর এই প্রথমবার পুতিন ভারত সফরে আসবেন।
এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মস্কো সফরে যান এবং পুতিনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেটি ছিল ২২তম ভারত-রাশিয়া সম্মেলন, যেখানে দুই নেতা নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
সে সময় মোদি পেয়েছিলেন রাশিয়ার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত রাখার জন্যই তাঁকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এছাড়া, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজান শহরে যান মোদি। সেখানে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় পুতিন ও মোদির মধ্যে।
এদিকে, পুতিনের ভারত সফরের ঘোষণার ঠিক আগের দিনই, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।
এরও আগে গত মাসে, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫% পাল্টা শুল্ক বসিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতের আমদানি শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০%, যা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কে বড় টানাপোড়েন তৈরি করেছে।
আর এমন উত্তপ্ত মুহূর্তেই পুতিনের ভারত সফরের ঘোষণা, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ভারতের জন্য এটা একদিকে কূটনৈতিক স্বস্তি, আবার অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণও কঠিন করে তুলছে।
