প্রাক্তন এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া এবং কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি তাকে অভিযুক্ত করেছে, যা অনেকের মতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের শাস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টার নতুন ধাপ। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচক কোমি এখন তার অভিযোগে ফেডারেল মামলার মুখোমুখি হওয়া প্রথম উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কোমি রাশিয়ার সঙ্গে তার যোগসাজশের অভিযোগে তদন্ত করেছিলেন। সেই সময় থেকেই দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে ওঠে।

ট্রাম্প এ ঘটনায় সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “আমেরিকায় অবশেষে ন্যায়বিচার! দেশের সবচেয়ে খারাপ মানুষদের একজন জেমস কোমি, দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক এফবিআই প্রধান।”

অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনেট বিচার বিভাগীয় কমিটির কাছে দেওয়া কোমির সাক্ষ্যের সঙ্গে উভয় অভিযোগ যুক্ত। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেসে মিথ্যা বলার অভিযোগটি এফবিআই-এর “আর্কটিক হ্যাজ” ফাঁস তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে চারটি আলাদা সংবাদমাধ্যমে গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।

সাক্ষ্যে কোমি দাবি করেছিলেন যে তিনি কাউকে সংবাদ প্রতিবেদনে বেনামী সূত্র হওয়ার অনুমতি দেননি। কিন্তু অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তার সেই বক্তব্য মিথ্যা ছিল।

অভিযোগের জবাবে কোমি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, “আসুন বিচার হোক। বিশ্বাস রাখুন।” তিনি আরও যোগ করেন, “বিচার বিভাগের জন্য আমার মন ভেঙে গেছে, কিন্তু আমি ফেডারেল বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। আমি নির্দোষ।”

অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এক্স-এ লিখেছেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।” তিনি আরও বলেন, “আজকের অভিযোগ প্রমাণ করে বিচার বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ — যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমেরিকান জনগণকে বিভ্রান্ত করে, তাদের জবাবদিহিতার মুখে পড়তেই হবে। আমরা এ মামলায় সত্যের পথেই এগোব।”

news