ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নন-বাসমতী চাল রপ্তানিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে। এখন থেকে দেশের কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (APEDA)-এর কাছে নিবন্ধন ছাড়া নন-বাসমতী চাল রপ্তানি সম্ভব হবে না।

বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিদপ্তর (DGFT) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “নন-বাসমতী চাল রপ্তানি নীতিতে নতুন শর্ত যুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র APEDA-তে নিবন্ধনের পরেই এই ধরণের চাল রপ্তানি করা যাবে।”

ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় চাল রপ্তানিকারক দেশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত নন-বাসমতী চাল রপ্তানি থেকে দেশের আয় বেড়ে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় ৬.৪ শতাংশ বেশি।

কিন্তু পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসল ক্ষতির খবরের মধ্যে নতুন এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেসব চাল আমদানির ঋণপত্রের (LC) মাধ্যমে ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়েছে, সেগুলো এই নতুন নির্দেশনার বাইরে থাকবে। তবে নতুনভাবে খোলা ঋণপত্রের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

হিলি বন্দরের আমদানিকারক দীনেশ পোদ্দার বলেন, “ভারতের নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ায় দেশে চাল আমদানির গতি কিছুটা ধীর হবে। পাশাপাশি আমদানি খরচও কিছুটা বাড়বে।”

এভাবে নতুন নীতি আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় নন-বাসমতী চালের সরবরাহ ও খরচের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

 

news