ফ্রান্সের রাজনীতিতে এক বিরল চমক! মাত্র পাঁচ দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে আবারও সেই একই পদে নিয়োগ দিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে দেশটির চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা চলছে।

গত ৬ অক্টোবর পদত্যাগ করলেও ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় এলিসি প্রাসাদ থেকে হঠাৎ করেই তার পুনর্নিয়োগের ঘোষণা আসে। লেকর্নু গত আট বছরে ম্যাখোঁর নিয়োগ দেওয়া সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। এই পুনর্বহাল ফ্রান্সের রাজনৈতিক মহলে একটি বড় চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি নতুন সরকার গঠনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। লেকর্নু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই দায়িত্ব গ্রহণে তাঁর সম্মতি জানিয়েছেন।

তাঁর পোস্টে তিনি লেখেন, "দায়িত্ববোধ থেকেই প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের দেওয়া এই দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলাম। বছরের শেষের之前 বাজেট পাস করানো এবং নাগরিকদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করাই এখন আমার অগ্রাধিকার।"

এই নিয়োগের আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ শুক্রবার প্রধান সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তবে, অতি ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি এবং বামপন্থি ফ্রান্স আনবাউড দলকে সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা লেকর্নুর সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী নন। ফলে, একটি কার্যকর মন্ত্রিসভা গঠন করাই এখন তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফ্রান্সের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার শুরু ২০২৪ সালের জুন মাসে। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ সে সময় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন। পরবর্তী নির্বাচনে কোনো দলই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, resulting in a hung parliament.

এই ঝুলন্ত সংসদের কারণে কোনো প্রধানমন্ত্রীই প্রয়োজনীয় সমর্থন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদীভাবে সরকার চালাতে পারছেন না। গত এক বছরের মধ্যে লেকর্নুর আগে already তিনজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি এই সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে যে সরকারের পতন ঘটাতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শীঘ্রই অনাস্থা প্রস্তাব আনারও ইঙ্গিত দিয়েছে। এই পুনর্নিয়োগকে তারা 'খারাপ রসিকতা' বলে কটাক্ষ করেছে।

 

news