মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও তার আক্রমণাত্মক শুল্কনীতিকে সঠিক বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্যে এবার চমক — যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক খুব শিগগিরই অন্তত দুই হাজার ডলার করে পাবেন শুল্ক রাজস্বের ডিভিডেন্ড হিসেবে।

রোববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “যারা ট্যারিফের বিপক্ষে, তারা বোকার দল! এখন আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সম্মানিত দেশ। মুদ্রাস্ফীতি প্রায় নেই বললেই চলে, শেয়ারবাজার রেকর্ড ভাঙছে—৪০,১০০ পয়েন্টের ঐতিহাসিক উচ্চতা ছুঁয়েছে। আমরা ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করছি এবং শিগগিরই ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ পরিশোধ শুরু করব।”

ট্রাম্পের দাবি, তার ট্যারিফ নীতি দেশীয় বিনিয়োগে জোয়ার এনেছে। “যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নতুন কারখানা ও প্ল্যান্ট গড়ে উঠছে। ব্যবসাগুলো কেবল ট্যারিফের কারণেই আমেরিকায় ফিরছে,”—বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট আরও প্রশ্ন তোলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেসের পূর্ণ অনুমোদন নিয়ে, চাইলে কোনো বিদেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু একটি সাধারণ ট্যারিফ আরোপ করতে পারবেন না? এমনকি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও না? আমাদের মহান প্রতিষ্ঠাতারা নিশ্চয়ই এমনটা ভাবেননি!”

এদিকে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে চলছে বড় আইনি লড়াই। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, প্রেসিডেন্ট কি ১৯৭৭ সালের জরুরি আইন ব্যবহার করে কংগ্রেসের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন? রক্ষণশীল ও উদারপন্থী বিচারপতিরা দু’পক্ষই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করছেন।

নিম্ন আদালতগুলো ইতিমধ্যে রায় দিয়েছে যে, ট্রাম্প এই আইনের অপব্যবহার করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। বর্তমানে আদালতে রক্ষণশীল বিচারপতিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ (৬-৩), ফলে রায়টি বিভক্ত হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, তার আরোপিত ট্যারিফগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। এই কর নীতির মাধ্যমে তিনি আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব আনার প্রত্যাশা করছেন — যা থেকে প্রতিটি মার্কিন নাগরিকের হাতে পৌঁছাবে কমপক্ষে দুই হাজার ডলার করে।

 

news