ইকুয়েডরের একটি কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনায় কমপক্ষে ৩১ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসরোধে মারা গেছেন।

এএফপির খবরে বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলীয় এল ওরো প্রদেশের মাচালা কারাগারে এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। কারা কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে শুরু হওয়া সশস্ত্র দাঙ্গায় অন্তত চারজন বন্দি নিহত হন এবং আরও কয়েক ডজন আহত হন। কারা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত চলছে এবং ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তথ্য যাচাই করছে।

মাচালার এই ভয়াবহ দাঙ্গা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারগুলোর চলমান অস্থিরতার সর্বশেষ উদাহরণ। দেশটির কারাগারগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক পাচারকারী চক্রগুলোর নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। লাভজনক কিন্তু অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে কারাগারের ভেতর থেকে গুলি, বিস্ফোরণ এবং বন্দিদের সাহায্যের জন্য চিৎকারের শব্দ শোনা যায়।

কারা কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সহিংসতায় চারজন নিহত এবং ৩৩ জন বন্দি ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। দাঙ্গা শুরু হওয়ার পরই এলিট পুলিশ টিম দ্রুত অভিযান চালিয়ে কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

তবে এখনো নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এবং কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি যে এই সহিংসতা কোনো আন্তঃগোষ্ঠী সংঘর্ষের ফল কিনা।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মাচালার একই কারাগারে এক সশস্ত্র সংঘর্ষে ১৩ জন বন্দি ও একজন কারা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা দেশটির কারাগার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা আবারও প্রকাশ করেছে।