যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কোর্ট এখন চরম বিপদে! মামলার পাহাড় জমছে, কিন্তু বিচারকের সংখ্যা কমছে ঝড়ের গতিতে। সবশেষে নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্ট থেকে আরও ৮ জন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার একটা বড় মার্কিন পত্রিকা এই খবর ছেপেছে ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইমিগ্রেশন জাজ’-এর তথ্য দিয়ে।
চলতি বছরেই মোট ৯০ জন বিচারককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যার মধ্যে নিউইয়র্কেরই ৬ জন। বদলে নতুন নিয়োগ? মাত্র ৩৬ জন! ফলে কোর্টের কাজ প্রায় থমকে দাঁড়িয়েছে। অভিবাসন আইনজীবীরা বলছেন, এভাবে চললে লাখো মানুষের ভাগ্য ঝুলে থাকবে বছরের পর বছর।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসনবিরোধী নীতি আরও কঠোর করার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এই ছাঁটাই শুরু। আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কারের আগে নিজের পক্ষে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু বিচারক কমে যাওয়ায় হাজার হাজার আটক মানুষ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বরখাস্ত হওয়া বিচারকদের মধ্যে আছেন নিউইয়র্কের সুপারভাইজিং জজ আমিনা এ. খানের মতো বড় নামও।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০-এর বেশি ইমিগ্রেশন কোর্টে ঝুলছে প্রায় ৩৭ লাখ মামলা! রাজনৈতিক আশ্রয়, পরিবারের সঙ্গে মিলন, ভিসা জটিলতা – সবই আটকে। অনেক মামলার তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। কিছু আশ্রয় আবেদন শুনানি ছাড়াই বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ট্রাম্পের এই নীতি সংবিধানের ন্যায়বিচারের অধিকারকেই লঙ্ঘন করছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান অভিবাসীর গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানসহ ১৯ দেশের ভিসা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। আশ্রয় মামলা আর পারিবারিক কোটার প্রক্রিয়াও স্থগিত।
আইনজীবী আর মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, “একজনের অপরাধের শাস্তি কেন লাখো নিরীহ মানুষ ভোগ করবে? এটা একদম অমানবিক!
”
