মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বর্ণবাদী মুখ খুলেছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমালি সম্প্রদায়ের ওপর তীব্র আক্রমণ করে সোমালিয়াকে ‘দুর্গন্ধযুক্ত’ দেশ বলে গালি দিয়েছেন। আর সোমালি বংশোদ্ভূত মুসলিম কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকে সটান ‘আবর্জনা’ বলে অপমান করেছেন!

এই কথাগুলো কোনো ভুলে বলা নয়, বরং ট্রাম্পের পুরোনো অভিবাসী-বিদ্বেষী আর মুসলিম-বিরোধী রাজনীতির ধারাবাহিকতা। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন – অভিবাসী, মুসলিম আর কৃষ্ণাঙ্গরা আমেরিকার ‘শত্রু’, তাদের একঘরে করতে হবে।

ট্রাম্পের এই বর্ণবাদী কথাবার্তা তার ভোটারদের জন্য ‘মূলধন’। আফ্রিকান আর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গালাগালি দিয়ে তিনি ভয় আর ঘৃণাকে রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেন। মিনেসোটায় সোমালি অভিবাসীদের সুরক্ষা বাতিল, মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা – এখন সরাসরি মুখে গালি। সবই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের খেলা।

ইলহান ওমরকে ট্রাম্প বারবার টার্গেট করেন কারণ তিনি মুসলিম অভিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ নারীর প্রতীক। ২০০০ সালে শরণার্থী হয়ে আমেরিকায় আসা ওমরকে এবারও ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ বলে গালি দিয়েছেন। মিনেসোটার খবরে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের এই কথার পর সোমালি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হুমকি আর সহিংসতা বেড়েছে।

এই বর্ণবাদী কথা শুধু আমেরিকার ভেতরে নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও বিষ ছড়াচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলো এটাকে নিজেদের মর্যাদার ওপর আঘাত মনে করছে। কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়বে, এটা নিশ্চিত।
ট্রাম্পের মুখ থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ আর বিপদের গন্ধ – যেটা শুরু হচ্ছে গালাগালি দিয়ে আর শেষ হতে পারে সামাজিক বিভাজন, সহিংসতা আর বিশ্ব রাজনীতিতে সংকটে।

 

news