আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ওয়াশিংটন: নিজের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বারবার উচ্চকণ্ঠ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকেই ঘুমিয়ে পড়ে আলোচনার জন্ম দিলেন! বৈঠকের শুরুতে তিনি প্রায় ১৫ মিনিট ধরে নিজের ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু এরপরই তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা আধো ঘুম, আধো জাগরণে কাটান।
'স্লিপি জো' ডেকে নিজেই ঘুমালেন! মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতেই ট্রাম্প দাবি করেন, "২৫ বছর আগে যা ছিলাম, এখন তার চেয়েও চাঙা।" তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ ডেকে কিছুক্ষণ রসিকতাও করেন। কিন্তু রসিকতা করার কিছুক্ষণ পরই বৈঠকে পরবর্তী দেড় ঘণ্টা তিনি নিজেই ঘুমে ঢলে পড়তে থাকেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের সত্যতা? গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রেসিডেন্টের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে একটি তথ্য-উপাত্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বয়সের সঙ্গে ট্রাম্পের কাজের গতি ও পরিধি কমে যাচ্ছে। তখন ট্রাম্প এই প্রতিবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে নিজের স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সম্পর্কিত বিভিন্ন মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করেন। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বারবার ঘুমিয়ে পড়ে তিনি যেন সেই প্রতিবেদনের বক্তব্যকেই উসকে দিলেন।
কার কার বক্তব্যের সময় ঘুম: সিএনএন জানায়, বৈঠকের শুরুতে যখন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশংসা করছিলেন, ঠিক তখনই ট্রাম্প ঘুমিয়ে পড়েন। পর্যায়ক্রমে মন্ত্রিপরিষদের সচিব স্কট টার্নার, ব্রুকি রুলিনস, লিন্ডা ম্যাকমাহনের বক্তব্যের সময়ও ট্রাম্পকে জেগে থাকতে বেশ বেগ পেতে হয়। কখনও চোখ পিটপিট করে, কখনোবা ঘুমে ঢলে পড়েই কাটিয়ে দেন পুরো সময়।
নড়েচড়ে উঠলেও আবার ঘুম: বৈঠকের শেষ দিকে যখন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বক্তব্য রাখছিলেন, তখন ট্রাম্প তার পাশের চেয়ারেই বসে ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ শব্দে তিনি নড়েচড়ে বসলেও পরক্ষণেই আবার ঘুমিয়ে যান।
হোয়াইট হাউসের সাফাই: বৈঠকে ট্রাম্পের এমন আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বিষয়টি এড়িয়ে যান। লেভিট দাবি করেন, "ট্রাম্প পুরো বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং তিন ঘণ্টার একটি ম্যারাথন বৈঠক চালিয়ে যান।" চলতি বছরে নয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনার কথা উল্লেখ করে লেভিট প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন।
