রাফাহ ক্রসিংকে একমুখীভাবে খোলার ইসরায়েলের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। আরব দেশগুলো সতর্ক করে বলছে—এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের গাজা খালি করতে বাধ্য করার একটি চেষ্টা হতে পারে।

ইসরায়েল বুধবার জানায়, হামাসের সঙ্গে অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী শিগগিরই রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে। তবে শর্ত হলো—ফিলিস্তিনিরা শুধু গাজা ছাড়তে পারবেন, কিন্তু আর ফিরে আসতে পারবেন না। এই গোপন শর্ত প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।

অন্যদিকে, মিশর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে—রাফাহ খোলার বিষয়ে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করেনি।

আরব–মুসলিম দেশগুলোর তীব্র আপত্তি

পার্সটুডে–এর বরাতে সিজিটিএন জানায়, ইসরায়েলের এই একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা—রাফাহকে শুধুমাত্র ‘একদিকে খোলা’ মানে ফিলিস্তিনিদের মিশরে জোর করে পাঠানোর আরেকটি প্রচেষ্টা।

যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, সৌদি আরব ও কাতার। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো পরিকল্পনা তারা প্রত্যাখ্যান করে।

মন্ত্রীরা এটিও বলেছেন, গাজা সংকট সমাধানের নামে কোনো দেশের ওপর জোর করে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

ইসরায়েলের ঘোষণার পর গাজা নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে—এই উদ্যোগ কি ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে গাজা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া?

যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘গোপন ধারা’ প্রকাশিত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

 

news