যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে ইসরাইল যে নতুন সীমানা নির্ধারণ করেছে, সেটি ধীরে ধীরে আরও বিস্তৃত করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এই 'ইয়েলো লাইন' নামের সীমানাটি আশেপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকে গিলে খাচ্ছে। ফলে কোনো রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার চুপিসারে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
শনিবার মিডল ইস্ট আই-এর একটি প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর গাজা সিটিতে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন ৩১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ হামেদ। তখন তার বাড়িটা ইয়েলো লাইন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ছিল।
কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে সেই দূরত্ব কমে এসেছে প্রায় ২০০ মিটারে! গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার কাছে থাকা হামেদের বাড়ি থেকে এখন স্পষ্ট দেখা যায় ইসরায়েলি বাহিনীর বসানো হলুদ রঙের কংক্রিট ব্লক, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও সেখানে ছিল না।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকেই এই 'ইয়েলো লাইন' আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে সরে আসছে। এরই মধ্যে গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা এই সীমারেখার ভিতরে চলে গেছে।
আহমেদ হামেদ বলেন, "এই লাইনের আগের জায়গা আর এখনকার জায়গার মাঝে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে হাজার হাজার বাড়ি আছে।" সেই সব বাড়ির মানুষ এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন—পরের টার্গেট কি তাদের বাড়িঘর?
যুদ্ধ থামলেও গাজাবাসীর জীবনে আতঙ্ক থামেনি। 'ইয়েলো লাইন'-এর এই নীরব কিন্তু নিয়মিত অগ্রগমন সেটাই প্রমাণ করছে। বাড়ির জানালা থেকে সৈন্য ও ট্যাংক দেখতে পাওয়ার ভয় এখন তাদের নিত্যসঙ্গী।
