সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। হামলায় অংশ নেওয়া আইএসের একটি সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এই ঘটনার জবাবে 'কঠোর প্রতিশোধ' নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর পালমিরার কাছে মার্কিন ও সিরীয় বাহিনীর একটি যৌথ অভিযানের সময় এই হামলা ঘটে।
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, অভিযানের অংশ হিসেবে মার্কিন সেনারা তখন স্থানীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করছিলেন। ঠিক সেই সময় আইএসের একজন বন্দুকধারী হঠাৎ গুলি চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে হামলাকারীকে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হয়। নিহত মার্কিন নাগরিকদের নাম বা ইউনিটের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ঘটনায় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। এ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন,
"বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যারা মার্কিন নাগরিকদের লক্ষ্য করবে, তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।"
অন্যদিকে, রয়টার্সকে স্থানীয় তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারী ব্যক্তি সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীরই একজন সদস্য ছিলেন। তবে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই ব্যক্তি বাহিনীর কোনো নেতৃত্বস্থানীয় পদে ছিলেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুরেদ্দিন আল-বাবা আল-ইখবারিয়া টিভিকে জানান, গত ১০ ডিসেম্বরের এক মূল্যায়নে ওই ব্যক্তির মধ্যে চরমপন্থি চিন্তাধারা থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, আইএস-বিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিরিয়ার অংশগ্রহণ নিয়ে গত নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে নিহতদের 'তিনজন মহান দেশপ্রেমিক' বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি হামলার 'কঠোর প্রতিশোধ' নেওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প এই ঘটনাকে 'ভয়াবহ' হামলা বলে আখ্যা দেন।
