সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে সফল হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার নভোরোসিয়েস্ক বন্দরে অবস্থানরত ওই সাবমেরিনে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ। তাদের দাবি, হামলায় সাবমেরিনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে এসবিইউ জানায়, “ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক ‘বেবি ড্রোন’ ব্যবহার করে সাবমেরিনে হামলা চালানো হয়েছে।” সংস্থাটির দাবি অনুযায়ী, কিলো ক্লাসের এই সাবমেরিনটি এখন পুরোপুরি অকার্যকর। এসবিইউ আরও জানায়, সাবমেরিনটিতে চারটি কালিবার ক্রুজ মিসাইল লঞ্চার ছিল, যেগুলো দিয়ে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা চালানো হতো।

ইউক্রেনের এই দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। এমন সময় এই হামলার তথ্য সামনে এলো, যখন জার্মানির বার্লিনে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা বেশ জোরদারভাবে চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনার মধ্যেই এই হামলার মাধ্যমে ইউক্রেন দেখাতে চাইছে যে তারা এখনো রাশিয়াকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে সক্ষম।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, আলোচনায় “জেলেনস্কির কোনো কার্ড নেই।” ওই মন্তব্যের পর থেকেই কিয়েভ হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রুশ সংশ্লিষ্ট একাধিক জাহাজেও ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে। জবাবে রাশিয়াও পণ্যবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক বলেন, রুশ সাবমেরিনে হামলার মাধ্যমে নৌযুদ্ধে তারা এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। তার ভাষায়, “সমুদ্রে সাবমেরিনে আঘাত হানা সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি।”

এদিকে, আগের তিন বছরের মতো এবারও শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও ভূখণ্ড দখলের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

 

news