বেশ কিছুদিন ধরেই বেলারুশে বড় ধরনের রাজনৈতিক বন্দী মুক্তির খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সবাই নিরাপদে বাইরে না আসা পর্যন্ত কেউ তালিকা বা সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

শেষমেশ সব মিলিয়ে ১২৩ জন রাজনৈতিক বন্দীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বেলারুশের পরিচিত সরকারবিরোধী রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সাংবাদিকরা।

মুক্তির তালিকায় ছিলেন লাল লিপস্টিক আর হাসিমাখা মুখের জন্য পরিচিত প্রতিবাদী নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভাও। কারাগার থেকে বেরিয়ে অন্য সাবেক বন্দীদের সঙ্গে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা ও আলিঙ্গনের একটি ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

 পরে বেলারুশ ছাড়ার সময় বাসের ভেতর থেকে ধারণ করা আরেক ভিডিওতে তিনি এই মুক্তির পেছনে সাহায্যকারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মাশা নামে পরিচিত মারিয়া ভিডিওতে বলেন, ‘আমার প্রিয় মানুষদের আবার দেখতে পাওয়া, তাদের আলিঙ্গন করা এবং আমরা সবাই মুক্ত—এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’ তখন তাঁর ঠোঁটজোড়া আবারও লাল লিপস্টিকে রাঙানো।

তিনি আরও বলেন, মুক্তির পর দেখা প্রথম সূর্যাস্ত ছিল এক অপূর্ব সুন্দর অভিজ্ঞতা। তবে একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন, যাঁরা এখনো কারাগারে রয়েছেন। মাশার ভাষায়, ‘আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যখন সবাই মুক্ত হবেন এবং আমরা সবাইকে আলিঙ্গন করতে পারব।’
মুক্তি পেয়েছেন ভিক্টর বাবারিকোও। তিনি একজন ব্যাঙ্কার, যিনি ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভোট শুরুর আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি।
এই সবাই আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরোধিতা করায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ২০২০ সালের গণবিক্ষোভে তাঁর নিরাপত্তাবাহিনী কঠোর দমন-পীড়ন চালায়। সেই আন্দোলনই ছিল লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—যার মুখে তিনি আগে কখনো পড়েননি।

 

news