এক বছরে ইউক্রেনের পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করার দাবি করেছে রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছর তারা কিয়েভের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের সিভেরস্ক এবং উত্তর খারকিভ অঞ্চলের ভোভচানস্ক দখল করেছে। পাশাপাশি দোনেৎস্কের লিমান ও কোস্টিয়ান্টিনিভকার অন্তত অর্ধেক এবং দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবিও করেন তিনি।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ পর্যবেক্ষকরা এই দাবির সঙ্গে একমত নন। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ছবি ও ওপেন-সোর্স ভিজ্যুয়াল প্রমাণ পুতিনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না।
আইএসডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, তারা পুতিনের দাবি করা দখল বা বড় ধরনের অগ্রগতির কোনো প্রমাণ পায়নি। বরং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হুলিয়াপোলের মাত্র ৭.৩ শতাংশ এবং লিমানের ২.৯ শতাংশ এলাকায় রাশিয়ার উপস্থিতির ইঙ্গিত মিলেছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কোস্টিয়ান্টিনিভকা ক্ষেত্রেও রাশিয়ার দখল ৫ শতাংশের বেশি নয়। তারা বলেছে, এমনকি রাশিয়ান মিলিটারি ব্লগারদের দাবি করা অগ্রগতিও পুতিনের অনেক বক্তব্যকে সমর্থন করে না। ব্লগারদের মতে, রুশ বাহিনী লিমানের প্রায় ৭ শতাংশ এবং কোস্টিয়ান্টিনিভকার ১১ শতাংশ দখল করেছে।
এদিকে ক্রেমলিন খারকিভের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্কের পোকরোভস্ক পুরোপুরি দখলে থাকার দাবিও করেছে। তবে আইএসডব্লিউর হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়া খারকিভ অঞ্চলের ৭.২ শতাংশের বেশি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ জানিয়েছেন, পোকরোভস্ক এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়াকে ১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে হটিয়ে দিয়েছে।
