সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের মুকাল্লা বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইয়েমেনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ হারদামাউত দখলে নিয়েছিল দক্ষিণপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)।
এরপর থেকেই সৌদি জোট এসটিসিকে মুকাল্লা বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সেই আহ্বান উপেক্ষা করায় মঙ্গলবার বন্দরে সীমিত পরিসরে এই বিমান হামলা চালানো হয়। ইয়েমেন সরকার ও সৌদি আরব জানিয়েছে, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল এসটিসির জন্য বন্দরে আনা অস্ত্র। সরকারি সূত্র দাবি করেছে, এসব অস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
সৌদি আরবের রেড লাইন
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানায়, নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা তাদের জন্য একটি ‘রেড লাইন’, যা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে। একই সাথে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সংযুক্ত আরব আমিরাত দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে।
কী দাবি করছে সৌদি জোট?
সৌদি জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালিকি জানান, শনিবার ও রোববার মুকাল্লা বন্দরে দুটি জাহাজ প্রবেশ করে, যেগুলো জোটের অনুমতি ছাড়াই এসেছে এবং যাদের ট্র্যাকিং ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এই জাহাজ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করা হয়, যা এসটিসির জন্য আনা হয়েছিল বলে জোটের দাবি।
ইয়েমেন সরকারের কঠোর নির্দেশ
অন্যদিকে, সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের প্রধান রাশেদ আল-আলিমি মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব সেনা ইয়েমেন থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
এই ঘটনা ইয়েমেনের চলমান সংঘাত এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের জটিল জোট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
