রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এই হামলায় শোধনাগারটির বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানকার দুইজন কর্মী আহত হয়েছেন।
লক্ষ্যবস্তু করা শোধনাগারটির নাম তুয়াপস অয়েল রিফাইনারি। এটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্রাসনোদার-এ কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত। ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড থেকে এই শোধনাগারটির দূরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার।
কী বলছে রাশিয়া?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুশ সেনাবাহিনীর ক্রাসনোদার শাখা জানায়, ড্রোন হামলার পর শোধনাগার এবং এর আশপাশের প্রায় ৩,২২৯ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে বিবৃতিতে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
তুয়াপস তেল শোধনাগার কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
তুয়াপস তেল শোধনাগারটি রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান রোসনেফট-এর মালিকানাধীন। কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর অঞ্চলে অবস্থিত রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বৃহৎ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
ইউক্রেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই হামলার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাতের আঁধারে তুয়াপসের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভয়াবহ লেলিহান আগুন জ্বলছে।
ইউক্রেনের নীরবতা
তবে এই হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন সরকার বা দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
